প্রকাশিত: Fri, Feb 10, 2023 4:39 PM
আপডেট: Sat, May 10, 2025 1:17 PM

ওদের স্বপ্ন নেই, আছে শুধু দুঃস্বপ্ন

হারিয়ে গেলো প্রাচীন শহর আলেপ্পো

ইমরুল শাহেদ: গৃহযুদ্ধ ও ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত হয়ে সিরিয়া যেন পরিণত হয়েছে এক নিঝুম বধ্যভূমিতে।  সোমবারের ভয়াবহ ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত হয়ে ইতিহাসের পাতা থেকে মুছে গেল প্রাচীন শহর আলেপ্পো। এই শহরটি এমন এক শহর যেখানে বিগত ৬ হাজার বছর ধরে মানুষ বসবাস করে আসছে। কখনো এর ব্যতিক্রম হয়নি। তবে এর আসল গুরুত্ব ভূরাজনৈতিক অবস্থানের কারণে। শহরটি মেসোপোটেমিয়া সভ্যতার আদিস্থান - বর্তমান ইরাক ও ভূমধ্যসাগরের সংযোগপথের মধ্যবর্তী অঞ্চলে অবস্থিত।

আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভূমিকম্প আঘাত হানার পর এই প্রথম জাতিসংঘের ত্রাণ সহায়তা তুরস্ক সীমান্ত দিয়ে উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ায় প্রবেশ করেছে। দেশটিতে ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত ৩ হাজার ৩৭৭ জন নিহত হয়েছেন। বোমাবর্ষণে বিধ্বস্ত দেশটি পড়েছে ভয়াবহ মানবিক সংকটে। চলছে উদ্ধারকাজ। তবে পর্যাপ্ত যন্ত্রপাতি এবং উদ্ধারকর্মীর অভাবে তা চলছে ধীরগতিতে।

আশ্রয়, কম্বল এবং স্বাস্থ্য সামগ্রী নিয়ে ছয়টি বাব আল-হাওয়াতে মঙ্গলবার প্রবেশ করেছে। জাতিসংঘের কো-অর্ডিনেশন অব হিউমেনিটেরিয়ান অ্যাফেয়ার্সের (ওসিএইচএ) কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ অনুমোদিত পথ দিয়েই ট্রাকগুলো সিরিয়ায় প্রবেশ করেছে। 

ওসিএইচএ’র তুরস্ক প্রধান সনজানা কাজী গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘জাতিসংঘের ত্রাণ তৎপরতা সীমান্তের ওপারে শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে। আমি এই ভেবে শান্তি পাচ্ছি, প্রচণ্ড চাপের মধ্যেই আমরা উত্তরপাশ্চিমাঞ্চলীয় সিরিয়ায় পৌঁছাতে পেরেছি। আমরা আশা করছি এই ত্রাণ তৎপরতা অব্যাহত থাকবে।’

ভূমিকম্পের পর থেকে প্রায় কোনো বাইরের সাহায্য আসেনি যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ায়। কারণ হিসেবে দেশটির গৃহযুদ্ধকেই দায়ী করছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। জাতিসংঘের  বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির অধীন যাওয়া খাদ্য সহায়তা বিতরণ করা হচ্ছে আলেপ্পো ও জিন্দেরেসের ভূমিকম্প-ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে। তবে কিছু অঞ্চলে যুদ্ধ চলার কারণে খাদ্য সহায়তা পৌঁছানো কঠিন হয়ে পড়ছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির প্রধান। 

এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান তেদ্রোস আধানম গেব্রিয়াসুসের সিরিয়ার ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে যাওয়ার কথা রয়েছে।

ওসিএইচএ থেকে বলা হয়েছে, বুধবার সিরিয়ায় প্রবেশ করার আরো দুটি বিকল্প পথ পাওয়া গেছে। গাজিয়াতেপ থেকে কিলিস-কিরিখান হয়ে একটি এবং আরেকটি মার্সিন থেকে আদনান-কিরিখান হয়ে সিরিয়ায় প্রবেশ করা যাবে। 

বাব আল-সালামা এবং আল-রাই হয়ে ত্রাণ যাওয়ার অনুমতি দিয়েছে তুরস্ক সরকার। বেইটনা সিরিয়ার সুশীল সমাজের প্রধান আসাদ আল-আচি এ তথ্য জানিয়েছেন। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব